নির্বাচনী ক্ষমতা ফিরিয়ে দিচ্ছেন ডক্টর ইউনূস সেনাবাহিনীকে।

- Update Time : ১০:১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ৪৮ Time View

জহির শাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ২৩ আগস্ট ২০২৫
দীর্ঘ ১৬ বছরের বিরতির পর, বাংলাদেশের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে আবারও মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে, সেনাবাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মর্যাদা দিয়ে নির্বাচনী অনিয়ম ও অপরাধ দমনে সরাসরি ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।
২০০১ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনী এই ধরনের ক্ষমতা পেয়েছিল, যার মাধ্যমে তারা বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও সরাসরি হস্তক্ষেপের অধিকার পায়। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এই ক্ষমতা বাতিল করে। এখন নতুন করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (RPO), ১৯৭২ সংশোধনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মর্যাদায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির পর এই ক্ষমতা কার্যকর হবে।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাসুদ বলেন, “সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা রয়েছে। তাদের সক্রিয় উপস্থিতি একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে।”
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার বাহিনীকে নিরপেক্ষতা ও আইন মেনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীর মোতায়েন ভোটারদের মনে নিরাপত্তা ও আত্মবিশ্বাস জাগাবে। অতীতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি নির্বাচনী সহিংসতা ও জালিয়াতি রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেনা মোতায়েন নিয়ে বিতর্ক ছিল। ২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ এবং ২০১৫ সালের কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা এলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও জনগণের উৎকণ্ঠার মধ্যে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে। সাধারণ মানুষ আশা করছেন, এই পদক্ষেপ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম করবে।