ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডি সি অফিসে ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র অনুমোদনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

- Update Time : ১১:৪০:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
- / ৪২ Time View

ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কেফায়েত উল্লাহ আউলিয়া বাজারে ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র (এলএসএফসি) অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডি সি অফিসে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে এবং অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বিগত ২০১৪ ইং সনে এল,এল,বি অনার্স পাশ করেন। তিনি দীর্ঘ ৫/৬ বছর যাবৎ কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ইন্টারনেট সুবিধাসহ ভূমি বিষয়ক নানা সেবা প্রদান করে আসছেন। তাঁর নিজস্ব মার্কেটে এই ভূমি সেবা দেওয়ার জন্য একটি দোকান বরাদ্দ রেখেছে এবং দুইজন লোক এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ভূমি সেবা সংক্রান্ত কার্যক্রম করে আসছেন। দোকানে এই সেবা কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও সরঞ্জামাদি বিদ্যমান রাখিয়াছে।
তবে সম্প্রতি আউলিয়া বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন এল,এস,এফ,সি অনুমোদনের ক্ষেত্রে তাঁর আবেদন উপেক্ষা করে অন্য একজন অনুপযুক্ত ব্যক্তির নামে ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র অনুমোদনের অভিযোগ এনেছেন তিনি।
মোঃ কেফায়েত উল্লাহ দাবি করেন, অনুমোদন প্রাপ্ত ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দা নন এবং ইউনিয়নের ভূমি সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততাও নেই, এবং অনুসন্ধানে জানা যায়, মোঃ সাদিকুল ইসলাম ভূঁইয়া তিনি চম্পকনগর ইউনিয়ন ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রের জন্য আবেদন করেন। এতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র অনুমোদনে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল দোকানের ট্রেড লাইসেন্স এবং নিজস্ব দোকান না থাকিলে ভাড়াটিয়া চুক্তি পত্র বাধ্যতামূলক থাকতে হবে।অথচ মোঃ কেফায়েত উল্লাহ নিজেই দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে ভূমি অফিসের সাথে কাজ করে জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা পাননি বলেও জানান তিনি।
এমতাবস্থায়, তিনি পুনরায় যাচাই করে তাঁর নামে এই ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র (এলএসএফসি) অনুমোদনের দাবি জানিয়েছেন এবং পূর্বে অনুমোদন বাতিল করে ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আরেক আবেদনকারী উপজেলার আউলিয়া বাজার সংলগ্ন মাধবেরবাগের বাসিন্দা সফলা আক্তারের একই অভিযোগ, সে আবেদন করেছেন কিন্তু তার আবেদনের তদন্ত করতেই কেউ আসেনি। আউলিয়া বাজার ইউনিয়ন ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র অনুমোদনে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। তিনিও পুনঃতদন্ত করার জোর দাবী জানান।
এবিষয়ে ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র তদন্তকারী কর্মকর্তা আলী মুনসুরের নিকট এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, পুরা বিজয়নগর উপজেলায় ৭টি আবেদন তিনি তদন্ত করেছেন। আউলিয়া বাজারে একটা আবেদন ছিল, আরেকটা আবেদন ছিল চম্পকনগর বাজারে। অপর আরেকটি ইসলামপুর ইউনিয়নে আর বাকি চারটি বিজয়নগর এসিল্যান্ড অফিসের আশপাশে মির্জাপুর বাজারে। আমি সরেজমিনে গিয়ে সত্য তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছি। কে পাবে আর কে পাবে না এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না নিয়োগের বিষয়টি ডিসি অফিস থেকে নির্ধারণ করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আউলিয়া বাজার ইউনিয়ন ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রটি অনুমোদন হয়েছে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর বাজারের স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের এজেন্টের মালিক মোঃ সাদেকুল ইসলাম ভূইয়ার নামে। তার আউলিয়া বাজারে কোনো দোকান নেই। তার পিতা চম্পকনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তিনিও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি। তাদের পরিবার ও মোঃ সাদেকুল ইসলাম ভূইয়ার বিরুদ্ধে খোদেহাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। স্কুলের মাঠে প্রথমে টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পরে এসিল্যান্ড মহোদয় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার এর সহযোগিতায় এই টিনের বেড়া অপসারণ করেন পরবর্তীতে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান মোঃ সাদিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তাহার বাবার কোর্টে মামলা দায়ের করেন মামলায় হেরে গিয়ে বর্তমানে বাউন্ডারি দিয়ে প্রতিবন্ধীকতা সৃষ্টি করেন বিভিন্ন সময় এই ভূমিদস্যু মোঃ সাদিকুল ইসলাম ও তার বাবা মিলে প্রায় সময় স্কুলের বারান্দায় ময়লা ফেলে স্কুলের ক্লাস থেকে বিরত থাকার জন্য মারিয়া হইয়া গেছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল দোকানের ট্রেড লাইসেন্স এবং নিজস্ব দোকান না থাকিলে ভাড়াটিয়া চুক্তি বাধ্যতামূলক থাকতে হবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘আমার জানামতে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি। নিজ ইউনিয়নের বাসিন্দারাই অনুমোদন পেয়েছে। তবে নিজ ইউনিয়নে ভূমি অফিস না থাকলে নারী আবেদনকারীদের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে এখনো আমি কিছু জানি না।