মিরাশানী পলিটেকনিক একাডেমিতে রূপসী বাংলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের দর্জি বিজ্ঞান প্রশিক্ষণের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন

- Update Time : ০৪:১০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৯ Time View

*জহির শাহ্, বিজয়নগর প্রতিনিধি, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫*
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের মিরাশানী পলিটেকনিক একাডেমির একটি প্রশস্ত কক্ষে, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হলো রূপসী বাংলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের উদ্যোগে দর্জি বিজ্ঞানের এক ব্যতিক্রমী কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এই উদ্বোধনী মুহূর্ত যেন এক নতুন দিগন্তের সূচনা, যেখানে তরুণ হৃদয়গুলো দক্ষতার আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে বেকারত্বের অন্ধকার দূর করবে, তাদের জীবনে সমৃদ্ধির নতুন পথ রচনা করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক জহির শাহ্ (অনুসন্ধান টিভি)। তাঁর প্রাণোচ্ছ্বল ও উদ্দীপনাময় বক্তৃতায় তিনি শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি দক্ষতার মাধ্যমে জীবন গঠনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “শিক্ষা ও দক্ষতার সম্মিলিত শক্তিই একটি জাতিকে সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছে দেয়। এই প্রশিক্ষণ তরুণদের হাতে তুলে দেবে স্বাধীনতা ও স্বনির্ভরতার অমূল্য চাবিকাঠি।”
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন মিরাশানী পলিটেকনিক একাডেমির প্রধান শিক্ষক জনাব গোলাম মোস্তফা। তাঁর দূরদৃষ্টি ও নিষ্ঠার নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা, সংস্কৃতি, এবং দক্ষতা উন্নয়নের এক উজ্জ্বল প্রতীকে পরিণত হয়েছে। তিনি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য শুধু জ্ঞান বিতরণ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের এমন দক্ষতায় সুসজ্জিত করা, যা তাদের জীবনকে আত্মনির্ভর ও সমৃদ্ধ করে তুলবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রেফারি মোহাইমিনুল আহমেদ। তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, “দক্ষতা একটি অপরিহার্য সম্পদ, যা কেবল ব্যক্তির জীবন নয়, সমাজ ও জাতির ভাগ্যকেও বদলে দিতে পারে।” এছাড়া, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাঁদের বক্তৃতায় দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজ গঠনের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার কথা উত্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এস.এম নাজির হোসেন রনি। তিনি প্রথম দিনে শতাধিক উৎসাহী শিক্ষার্থীকে পোশাকের কাটিং, সেলাই, এবং কাপড়ের হিসাবের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের মনে আশা ও প্রেরণার জাগরণ ঘটান। সহকারী প্রশিক্ষক খায়রুল ইসলাম রানা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
দুই মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীরা ৪৬টি বিভিন্ন ধরনের পোশাকের নকশা ও কারুকাজ শিখবেন। এই প্রশিক্ষণ তাদের হাতে তুলে দেবে আর্থিক স্বাধীনতার এক শক্তিশালী হাতিয়ার। প্রশিক্ষণ শেষে মেধার ভিত্তিতে সার্টিফিকেট প্রদানের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও উৎসাহ ও প্রতিশ্রুতির আলো জ্বালিয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই এই উদ্যোগকে বেকারত্ব দূরীকরণে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেন। এটি কেবল একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা নয়, বরং একটি জাতির আত্মবিশ্বাস ও সমৃদ্ধির গৌরবগাথা। মিরাশানী পলিটেকনিক একাডেমির এই প্রয়াস তরুণদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে, তাদের জীবনকে আলোকিত করবে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করবে।