০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিকলীতে রোগীকে মারধরের অভিযোগে ডাক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার অভিযোগ

আলমগীর হোসেন নিকলী কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:৫৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৪৯ Time View

নিকলীতে রোগীকে মারধরের অভিযোগে ডাক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার অভিযোগ

আলমগীর হোসেন, নিকলী, কিশোরগঞ্জ।
নিকলীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সজিব ঘোষ কর্তৃক হাসপাতালে সেবা নিতে আসা এক রোগীর উপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভুক্তভুগী ব্যক্তি ও তার পরিবার সঠিক বিচার প্রার্থী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও জেলা সিভিল সার্জন কিশোরগঞ্জ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকলী, জেলা মানবাধিকার কমিশন কিশোরগঞ্জ ও পুলিশ সুপার কিশোরগঞ্জ বরাবরেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবাগ্রহিতা রফিকুল ইসলামের মা রাবেয়া বেগম একাধিকবার নিকলী থানার দ্বারস্ত হয়েও কোন সাহায্য না পেয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত নং-৪ এ অভিযোগ দায়ের করেন ডাঃ সজিব ঘোষের বিরুদ্ধে।
সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত নং-৪ দায়েরকৃত অভিযোগে ১৪৩/৩২৩/৩৭৯/৩৮০/১৪৪ দঃবিঃ উল্লেখ করে ডাঃ সজিব ঘোষ সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর সেবাগ্রহিতা রফিকুল ইসলাম একজন দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসের রোগী, তাই তিনি তার দারিদ্রতার কারন জানিয়ে বিনামূল্যে ঔষধের আবেদন করেন,তখন ডাঃ সজিব ঘোষ বলেন আগে রোগ নির্ণয় তারপর ঔষধ। পুনরায় সেবাগ্রহিতা রফিকুল ইসলাম ঔষধের আবেদন জানান ও বলেন আমার ডায়াবেটিসের বই আছে, যার রেজি নং-19092021, এনসিডি রেজিনং-820। এভাবে বার বার অনুরোধ করায়, ডাঃ সজিব ঘোষ অকারনে ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে একটি ব্যবস্থাপত্র ছিল সেটি ছিড়ে ফেলে ও রোগীকে চর থাপ্পর,কিলঘুষি ও রক্তাক্ত, ফুলানীলা জখম করে। মারধর চলাকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশে অফিসের অন্যান্য কর্মচারীরা দীর্ঘসময় তালাবদ্ধ করে আটকে রাখে এবং সকলেই একসাথে রোগীকে মারধর ফুলানীলা জখম করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে সত্য ঘটনা প্রকাশে স্বার্থে স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে কাউকেই প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এমন সময় একজন গণমাধ্যমকর্মী বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুকে লাইভে আসেন, যেখানে দৃশ্যমান হয় অফিসের গেইটটি তালাবদ্ধ ও গনমাধ্যমকর্মী উপস্থিতি।
ঘটনা পরবর্তী ডাঃ সজিব ঘোষের দায়ের করা অভিযোগ উল্লেখ রয়েছে বিকাল ৫টা ১০মিনিটে সংবাদ প্রাপ্তির পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রফিককে থানা হেফাজতে রাখার পরবর্তীতে ৪৪৭/১৮৬/৩৫৩/৩৩২/৪২৭/৫০৬ প্যানাল কোড ১৮৬০ মোতাবেকে সজিব ঘোষকে বাদী করে মামলা রুজু করে। পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর সকালে জেলা হাজতে প্রেরণ করে।

 

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের স্বজন মিয়া হোসেন, মতিউর রহমান ও সাইদুর রহমানসহ একাধিক স্থানীয়রা উল্লেখ করেন তারা অভিযোগপত্র থানায় নিয়ে গেলেও ডাঃ সজিব ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়নি নিকলী থানার ওসি।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী রফিকুলের মা রাবেয়ার ভাষ্য, থানায় মামলা না নেওয়ার কারণে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের কাছে যান। আদালতও আবার থানাতেই পাঠিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

নিকলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিন এক প্রশ্নের জবাবে জানান তার কাছে এখনো আদালতের দেয়া রাবেয়া বাদীর মামলার কাগজপত্র আসেনি। তাছাড়া ঘটনা পরবর্তী থানায় অভিযোগ দায়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
ডাঃ সজিব ঘোষের সাথে একাধিকবার এই বিষয়ে কথা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

নিকলীতে রোগীকে মারধরের অভিযোগে ডাক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার অভিযোগ

Update Time : ০৩:৫৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিকলীতে রোগীকে মারধরের অভিযোগে ডাক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার অভিযোগ

আলমগীর হোসেন, নিকলী, কিশোরগঞ্জ।
নিকলীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সজিব ঘোষ কর্তৃক হাসপাতালে সেবা নিতে আসা এক রোগীর উপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভুক্তভুগী ব্যক্তি ও তার পরিবার সঠিক বিচার প্রার্থী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও জেলা সিভিল সার্জন কিশোরগঞ্জ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকলী, জেলা মানবাধিকার কমিশন কিশোরগঞ্জ ও পুলিশ সুপার কিশোরগঞ্জ বরাবরেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবাগ্রহিতা রফিকুল ইসলামের মা রাবেয়া বেগম একাধিকবার নিকলী থানার দ্বারস্ত হয়েও কোন সাহায্য না পেয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত নং-৪ এ অভিযোগ দায়ের করেন ডাঃ সজিব ঘোষের বিরুদ্ধে।
সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত নং-৪ দায়েরকৃত অভিযোগে ১৪৩/৩২৩/৩৭৯/৩৮০/১৪৪ দঃবিঃ উল্লেখ করে ডাঃ সজিব ঘোষ সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর সেবাগ্রহিতা রফিকুল ইসলাম একজন দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসের রোগী, তাই তিনি তার দারিদ্রতার কারন জানিয়ে বিনামূল্যে ঔষধের আবেদন করেন,তখন ডাঃ সজিব ঘোষ বলেন আগে রোগ নির্ণয় তারপর ঔষধ। পুনরায় সেবাগ্রহিতা রফিকুল ইসলাম ঔষধের আবেদন জানান ও বলেন আমার ডায়াবেটিসের বই আছে, যার রেজি নং-19092021, এনসিডি রেজিনং-820। এভাবে বার বার অনুরোধ করায়, ডাঃ সজিব ঘোষ অকারনে ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে একটি ব্যবস্থাপত্র ছিল সেটি ছিড়ে ফেলে ও রোগীকে চর থাপ্পর,কিলঘুষি ও রক্তাক্ত, ফুলানীলা জখম করে। মারধর চলাকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশে অফিসের অন্যান্য কর্মচারীরা দীর্ঘসময় তালাবদ্ধ করে আটকে রাখে এবং সকলেই একসাথে রোগীকে মারধর ফুলানীলা জখম করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে সত্য ঘটনা প্রকাশে স্বার্থে স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে কাউকেই প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এমন সময় একজন গণমাধ্যমকর্মী বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুকে লাইভে আসেন, যেখানে দৃশ্যমান হয় অফিসের গেইটটি তালাবদ্ধ ও গনমাধ্যমকর্মী উপস্থিতি।
ঘটনা পরবর্তী ডাঃ সজিব ঘোষের দায়ের করা অভিযোগ উল্লেখ রয়েছে বিকাল ৫টা ১০মিনিটে সংবাদ প্রাপ্তির পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রফিককে থানা হেফাজতে রাখার পরবর্তীতে ৪৪৭/১৮৬/৩৫৩/৩৩২/৪২৭/৫০৬ প্যানাল কোড ১৮৬০ মোতাবেকে সজিব ঘোষকে বাদী করে মামলা রুজু করে। পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর সকালে জেলা হাজতে প্রেরণ করে।

 

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের স্বজন মিয়া হোসেন, মতিউর রহমান ও সাইদুর রহমানসহ একাধিক স্থানীয়রা উল্লেখ করেন তারা অভিযোগপত্র থানায় নিয়ে গেলেও ডাঃ সজিব ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়নি নিকলী থানার ওসি।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী রফিকুলের মা রাবেয়ার ভাষ্য, থানায় মামলা না নেওয়ার কারণে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের কাছে যান। আদালতও আবার থানাতেই পাঠিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

নিকলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিন এক প্রশ্নের জবাবে জানান তার কাছে এখনো আদালতের দেয়া রাবেয়া বাদীর মামলার কাগজপত্র আসেনি। তাছাড়া ঘটনা পরবর্তী থানায় অভিযোগ দায়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
ডাঃ সজিব ঘোষের সাথে একাধিকবার এই বিষয়ে কথা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।